ডাক্তার শেশার ঘটনার ঐ পরিণতির পর , আলবার্জ প্যান্টিয়াকে হারানোর বাস্তবতার মুখোমুখি । নিজের অধিকার গ্রহণের প্রকৃতির সাথে লড়াই করতে করতে এবং নিজের ভালবাসার রমণীকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায় তাদের সম্পর্ক নিদারুণ চাপের মুখে পরে যায়। প্যান্টিয়া ডাক্তারের সাথে সম্পর্কটা কোন এক কালে ঘটে যাওয়া ঘটনা হিসেবে ব্যাখা করতে চায় এবং অ্যালবর্যের সাথে কথা বলে তার এই ধারণা হয়েছিল যে ব্যাপারটা সমাপ্ত হয়েছে।
প্যান্টিয়ার পরের জন্মদিন উদযাপনের জন্য আলবার্জ একটা বিস্তৃত ভ্রমণের পরিকল্পনা করে। আসার পর প্যান্টিয়া ব্যাখা করল যে তার ফোন ঠিক মত কাজ করছিল না , তাই তারা দুজন একটা নতুন আই ফোন কিনতে যায়। প্যান্টিয়া উপলব্ধি করল যে আলবার্জ তার সাথে ডাক্তার শেশার সম্পর্কের আসল সত্যটা জেনে যেতে পারে , তাই অ্যালবর্যের অজান্তেই তার ব্রিফকেস থেকে পাসওয়ার্ড সহ ইনভয়েসটা সে বের করে নেয়। এক মুহূর্তের অযৌক্তিক আচরণে , আলবার্জ মরিয়া হয়ে যায় প্যান্টিয়ার সাথে কথা বলার জন্য কিন্তু সে জানে বার্তালাপ খুব খারাপভাবে শেষ হবে , তাই সে একটা নোট লেখে নিজের মনোভাব প্রকাশ করে ।
ভ্রমণের শেষে , আলবার্জ বিমানে করে বিদায় নেবার আগে , প্যান্টিয়ার হাতে একটা নোট দেয় নিজের মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন আশংকা করা হয়েছিল প্যান্টিয়া কথাগুলো সেভাবেই নেয় এবং ফোন করে রেগে চিৎকার করতে থাকে। সে ভেবেছিল , তারা বোধহয় ব্যাপারটা মিটমাট করে নিয়েছে । দুঃখে কাতর প্যান্টিয়া বহু সপ্তাহ নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিল, তারপর সে অ্যালবর্যের সাথে দেখা করতে রাজি হল।
Tabla de materias
তৃতীয় অধ্যায়
অ্যানাহিতার খেলা
চতুর্থ অধ্যায়
ভালবাসার সাথে ব্যাখা
পঞ্চম অধ্যায়
মিলানে চুরি
ষষ্ঠ অধ্যায়
অ্যানাহিতার অনুপস্থিতি
সপ্তম অধ্যায়
রোম্যান্টিক নৈশাহার তার অ্যাপার্টমেন্টের রেস্তোরাঁয়
অষ্টম অধ্যায়
ভিসার জটিলতা
নবম অধ্যায়
বিশ্বজুড়ে স্ত্রীরা
দশম অধ্যায়
অ্যানাহিতার রং
একাদশ অধ্যায়
তার জন্য আরও ভাল গাড়ি কেনার উত্তেজনা
দ্বাদশ অধ্যায়
তার ইতিবাচক শক্তি
ত্রয়োদশ অধ্যায়
২০১৭র ভ্যালেন্টাইন ডে
চতুর্দশ অধ্যায়
ইয়াটে তার শেষ জন্মদিন পালন আমার সাথে
পঞ্চদশ অধ্যায়
অ্যানাহিতার মিথ্যা–কুনজর
ষোলতম অধ্যায়
প্যান্টিয়ার সাথে আমার শেষ জন্মদিন
সতেরতম অধ্যায়
অ্যানাহিতা একটা সিল্কের গাউন চুরি করল
অষ্টদশ অধ্যায়
ইউরোপে আমাদের শেষ ভ্রমণ
উনিশতম অধ্যায়
একদিনের বার্ষিকী
বিংশ অধ্যায়
আমার বাইপাস সার্জারি
একুশতম অধ্যায়
৯০ দিন বাদে আমার প্রথম বিয়ার
বাইশতম অধ্যায়
প্যান্টিয়ার সাথে শেষ ভ্যালেন্টাইন দিবস পালন
তেইশতম অধ্যায়
আমি চিন্তিত ছিলাম
চব্বিশতম অধ্যায়
আমার প্রথম এবং শেষ ভুল যা আমাদের বিচ্ছেদ ঘটাল
Sobre el autor
প্যান্টিয়া বা লারার জীবন-নাট্যের দুর্বার প্রেমিক আলবোর্জ আজার। সেই উদ্দাম কাহিনী লেখা হয়েছে আলবোর্জের কলমে। এই নায়কের জন্য তাঁর প্রেমিকারা সব কিছু ছাড়তে রাজি। তবে, লেখিকার ভূমিকায় প্যান্টিয়ার আত্মপ্রকাশ না করার কারণ তাঁর পারিবারিক জীবন। কিন্তু তার মনের ক্যানভাসে আলবোর্জ কখনও অপ্রতিরোধ্য ক্যাসানোভা, কখনও অ্যাডভেঞ্চারি মার্কোপোলো কিংবা প্রদীপ্ত নায়ক। একান্তভাবেই তাঁর। জীবনের নানা সমস্যায় আন্দোলিত আলবোর্জ সদাই আত্মবিশ্বাসী। সত্যকে তিনি কখনোই ছাড়েন নি। বাণিজ্যে ধারাবাহিক সাফল্যের দৌলতেই তাঁর বৈভব, বিলাসী জীবন — উত্তরাধিকারের সম্পদে নয়।মাত্র চোদ্দ বছর বয়স থেকেই প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই শুরু। কঠোর পরিশ্রম আর একাগ্রতাই তাঁকে সব বাধা পেরিয়ে সাফল্য পেতে সাহায্য করেছে। প্রথম প্রেমিকা রোজান সহধর্মিণী হিসাবে আজও তাঁর সাথী । তবে অন্যান্য সুন্দরীদের যাতায়াতও চলেছে অবাধে। দ্বিতীয় উজ্জ্বল নারী হলেন প্যান্টিয়া। বাণিজ্য-সফল হওয়ার স্বপ্ন শুরু আজারের তরুণ বয়সেই। ইংল্যান্ডের কর্পোরেট বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে আজ তিনি সফল। শুধু তাই নয়, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ এবং সুলেখক হিসাবেও তাঁর পরিচিতি বিস্তৃত। তাঁর লেখার তালিকায় রয়েছে গল্প-উপন্যাস, বাণিজ্য-কেলেঙ্কারি, বিভিন্ন রাষ্ট্রের আইনের ব্যাখ্যা, অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ব্যবসায়ীদের জীবন-কথা এবং যৌনতা নিয়ে রচনা। অদূর ভবিষ্যতেই প্রকাশিত হতে চলেছে এমন সব মানুষের জীবনী যা পাঠকের মন অবশ্যই ছুঁয়ে যাবে। alborzazar.net