আলবোর্জ আজার তাঁর ধারাবাহিক গ্রন্থাবলীর প্রথম উপন্যাস ‘কার কাজ’ প্যান্টিয়া (লানা)কে উৎসর্গ করেন। ২০১৮ সালের মার্চ মাসের একটি ঘটনার পর, প্রেমিকা প্যান্টিয়া ওরফে লানার অনুপ্রেরণায় তিনি তাঁর স্মৃতিকথা লিখতে শুরু করেন।প্যান্টিয়া তার ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আনতে চাইত না, তাই আজার জানতেন, প্যান্টিয়াকে প্রচারের আলো থেকে দূরে রাখতে হবে। কিন্তু তার প্রতি আজারের যে গভীর প্রেম ছিল, সেই অসাধারণ অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করতেন।
প্যান্টিয়া (বর্তমানে ৪১ বছর বয়স্ক) এবং আলবোর্জ (বর্তমানে ৬৬ বছর বয়স্ক)এর কাহিনী দ্বারা বইটি অনুপ্রাণিত। আলবোর্জ জানতে পারেন, প্যান্টিয়া ভালবাসায় বিশ্বাস করে না। কিন্তু সে তাঁকে বুঝিয়ে দেয় যে যাকে তিনি ভালবাসা মনে করছেন, তা নিঃশর্তভাবে কারও প্রকৃত যত্ন নেওয়ার সঙ্গে এক নয়। দুজনের সম্পর্ক যতই এগোতে থাকে, ঘটনাপ্রবাহ বদলাতে লাগলো লাগলো ততই দ্রুত। ধীরে ধীরে প্যান্টিয়া বুঝতে শুরু করে, ভালোবাসা মানে আলবোর্জ। অন্তত সপ্তাহে একদিন সে মুখ ফুটে বলতো আমি তোমায় ভালবাসি। কিন্তু লুকোনো কিছু কথা তাদের সম্পর্কের মধ্যে ধীরে ধীরে চাপ শুরু করতে লাগলো। ঠিক যে মুহূর্তে আলবোর্জ ভাবতে শুরু করে, সব ঠিক আছে, ঠিক তখনই অন্য কারো সঙ্গে তার গোপন সম্পর্কের কথা ধরা পড়ে।
সেই ক্ষত সারানোর চেষ্টায় আলবোর্জ বাধ্য হয়ে বলে, প্রেমিকার জন্য সে প্রাণ পর্যন্ত দিতে পারে পারে। প্যান্টিয়ার সুখের জন্য সে বিসর্জন দিতে পারে সবকিছু। আলবোর্জ বোঝে, এই নারী অসাধারণ বুদ্ধিমতি এবং তার আকর্ষণ অমোঘ, কোটিতে এক।
สารบัญ
เกี่ยวกับผู้แต่ง
আলবোর্জ আজার ‘হিরো’র খেতাব দিয়েছিল প্যান্টিয়া (লানা)। এই কাহিনীর কথক আলবোর্জ। প্রেমিকার মুগ্ধ চোখে কখনো তিনি মহানায়ক, কখনো রমণীমোহন, কখনো বা মার্কোপোলো, আবার কখনো তার নিজের হিরো। প্যান্টিয়া কাহিনীর সবটা জুড়ে থাকলেও লেখক-এর তকমা চায়নি। নিজের পরিবারের কথা ভেবে অন্তরালেই থেকেছে।
আত্মবিশ্বাস এবং সত্যের প্রতি অগাধ আস্থা, এই দুই মন্ত্রেই জীবনের সব রকম ঝড় ঝাপটার সম্মুখীন হয়েছেন আজার। ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনে একনিষ্ঠ থেকেই জীবনের সব রকমের ঐশ্বর্য অর্জন করেছেন তিনি। বংশানুক্রমিক কোনও সম্পদ বা পরিচিতি কিছুই তার কাছে ছিল না।
মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকেই তার জীবন সংগ্রাম শুরু। কাজের প্রতি প্রবল একাগ্রতা এবং গভীর ভালবাসাই তাকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আইনী লড়াইয়ে এখনো তার একটা বড় কাজ আটকে আছে। ব্যক্তিগত জীবনের প্রথম প্রেম ছিলেন তাঁর স্ত্রী রোজহান, যিনি সবসময়ই তার পাশে থেকেছেন। কিন্তু যত সময় পেরিয়েছে বেশ কয়েকজন সুন্দরী মহিলার কাছাকাছি এসেছেন আজার। আর তাদের মধ্যে এক এবং অদ্বিতীয়া হলো প্যান্টিয়া।
অল্প বয়স থেকেই সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন আজার। বাণিজ্যিক জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন অনেকটাই সফল হয়েছে। কিন্তু প্রতিযোগিতার কূটচাল এবং অভিযোগ তাকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে দেয়। অদূর ভবিষ্যতেই তার গোটা জীবনের কাহিনী লেখা হবে বই আকারে। চমকপ্রদ সেই কাহিনী পাঠক হৃদয়কে স্পর্শ করবে, উদ্দীপ্ত করবে, এটাই আশা।